Tuesday, December 9, 2014

বাংলাদেশ থেকে যখন ভ্রমণ কিভাবে আন্তর্জাতিক অভিভাবক শিশু অপহরণ প্রতিরোধ

শিশু অপহরণ প্রতিরোধ আমি কেয়ার ফাউন্ডেশন এর আন্তর্জাতিক পর্যটন শিশু সম্মতি ফরম ব্যবহার করা উচিত আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ সন্তানদের সঙ্গে বাবা


আই কেয়ার ফাউন্ডেশন-এর শিশুর অন্তর্দেশীয় ভ্রমণের সম্মতিপত্র এখন বাংলায় পাওয়া যাচ্ছে

 
 
আই কেয়ার ফাউন্ডেশন-এর শিশুর অন্তর্দেশীয় ভ্রমণের সম্মতিপত্র প্রবর্তনের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুর বাবা-মায়েদের দ্বারা তাদের অপহরণ আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিরোধ করা, যার সঙ্গে যুক্ত আছে শিশুর কোন এক অভিভাবকের দ্বারা শিশুকে ভিনদেশে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা এবং এটি এখন বাংলা ভাষাতেও পাওয়া যাচ্ছে। এর ভ্রমণ নিদর্শটি মূলত যে আইনি বিষয়গুলিকে সম্বোধিত করে যেগুলি ১৯৮০ সালের শিশু অপরহণ বিষয়ক হেগ নিয়মপত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা ভাষাভাষী দেশগুলির সঙ্গে যুক্ত বাবা-মায়েদের দ্বারা তাদের শিশুদের সম্ভাব্য অপহরণের ঘটনাগুলির তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত আদালতসমূহের সহায়তা প্রদান করে, একটি অনন্য, বিশ্বজুড়ে সুবিদিত শিশু অপহরণরোধী এমন সাধনীসহ, যা আন্তর্জাতিকভাবে সেই সমস্ত আইনি, কূটনৈতিক ও বিচারবিভাগীয় সম্প্রদায় দ্বারা উচ্চপ্রশংসিত, যারা আন্তর্জাতিক স্তরে অভিভাবকীয় শিশু অপহরণের ঘটনার সঙ্গে সুপরিচিত।
আই কেয়ার ফাউন্ডেশন দ্বারা ২০১৪ সালে গ্রীষ্মকালে একটি বিস্তৃত অধ্যয়ন চালানো হয়েছিল সারা বিশ্বজুড়ে সহস্রাধিক আইনজীবী ও বিচারপতিদের সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে, যাঁরা আন্তর্জাতিক অভিভাবকীয় শিশু অপরহণের ঘটনার সঙ্গে সুপরিচিত। এই সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে যে, ১৯৮০ সালের শিশু অপরহরণ বিষয়ক হেগ সম্মেলনে স্বাক্ষরকারী চুরানম্বইটি দেশে অভিভাবকীয় অপহরণের যত ঘটনা রয়েছে তার মধ্যে ৭০%-এরও বেশির ঘটনায় এটি সাধারণভাবে দেখা গেছে যে, একটি শিশুর কোন এক অভিভাবক (বাবা বা মা), অপর অভিভাবকের সম্মতি বা আদালতের রায় ব্যতিরেকে শিশুকে নিয়ে দেশান্তরে চলে গেছেন এবং সেখানে তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছেন এবং এইভাবে তিনি অপর অভিভাবকের শিশুর হেফাজতের অধিকার খর্ব করেছেন। এই সমীক্ষা থেকে আরও যে সিদ্ধান্তে আসা গেছে তা হল, ১৯৮০ সালের হেগ শিশু অপরহরণ নিয়মপত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঘটনাগুলিতে শিশুকে আটক করে রাখার ঘটনার সংখ্যাধিক্য অবাক করে দেবার মতো। এই সমস্ত অপহরণকারী অভিভাবকেরা প্রায়শই হেগ নিয়মপত্রে অপহরণের যুক্তি হিসেবে ১২ ও ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ দুটিতে তাঁদের প্রদত্ত সুরক্ষার ব্যবস্থাকে কাজে লাগায় এই প্রত্যাশা থেকে যে, যে দেশে তাঁরা শিশুকে অপহরণ করে রেথেছেন সেই দেশের আদালত শিশুটিকে তার নিজের মূল অধিক্ষেত্রের দেশে ফিরিয়ে না দিতে নিজেদের আইন প্রয়োগ করবে।
হেগ স্থায়ী ব্যুরো-র মহাসচিব ডঃ ক্রিস্টোফার বার্নাস্কোনি হেগের পীস প্যালেসে অনুষ্ঠিত 2014 সালের ইউরোপের অভিভাবকীয় অপহরণ সংক্রান্ত ঘটনার আইনজীবীদের বসন্তকালীন সম্মেলনে, এবং নিউ ইয়র্কে 2014 সালের বৈবাহিক আইনজীবীদের আন্তর্জাতিক অ্যাকাডেমির বসন্তকালীন সম্মলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন যে, আই কেয়ার-এর শিশুর অন্তর্দেশীয় ভ্রমণের সম্মতিপত্র অত্যন্ত সুচিন্তিত একটি নিদর্শ, যা অনুকরণযোগ্য এবং শিশু অপহরণরোধে চূড়ান্ত সহায়ক একটি সাধনী, যা বিদেশে ভ্রমণরত শিশুদের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। সেই সঙ্গে, হেগ স্থায়ী ব্যুরো প্রতিনিধি জাপানের সাপ্পোরোতে অনুষ্ঠিত সাপ্পোরো বার অ্যাসোসিয়েশন-এর হেগ আলোচনাচক্রে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আই কেয়ার ফাউন্ডেশন-এর ভ্রমণের সম্মতিপত্রটির অসীম উপযোগিতার কথা তুলে ধরেছিলেন।
মহাসচিব ডঃ বার্নাস্কোনি অতীতে বলেছেন, “ভ্রমণের সম্মতিপত্রটি দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল এবং আমাকে বলতেই হবে যে, আমি অভিভূতঃ এটি আমার দেখা নিজের শ্রেণিতে সর্বাঙ্গীনতম একটি নথি এবং আমি এ ব্যাপারে একেবারেই সন্দেহাতীত যে, শিশু অপরহণ রোধের জন্য এইটিই সবচেয়ে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রচেষ্টা যা আজ পর্যন্ত করা হয়েছে। আমি আপনাদের এই মহতী প্রচেষ্টার উচ্চপ্রশংসা করি এবং আপনার কর্মীদলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই…আপনাদের তৈরি করা এই ভ্রমণের সম্মতিপত্রটি কত দ্রুত কত কার্যকরী ফলদান করতে শুরু করেছে এবং কত সুচারু রূপে আপনারা এর তদারকি করে চলেছেন তা দেখে বিস্মিত হতে হয় – এটি সত্যিই অনবদ্য।”
আই কেয়ার ফাউন্ডেশন-এর ভ্রমণ নিদর্শকে সফলতার সঙ্গে শিশুদের অন্তর্দেশীয় ভ্রমণের ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে হাতে-কলমে প্রয়োগ করে দেখানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে হেগ-কেন্দ্রিক শিশু অপহরণের ঘটনাগুলি রোধে এই সম্মতিপত্র সার্বিকভাবে কতটা কার্যকরী তা আমার এখনও প্রত্যক্ষ করে চলেছি। আমরা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত আশাবাদী যে আমাদের এই হেগ-কেন্দ্রিক ভ্রমণের সম্মতিপত্রটি সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে অভিভাবকীয় শিশু অপহরণের ঘটনাগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে সফল হবেই। আমরা আমাদের ফলপ্রসূ গবেষণা থেকে দেখেছি শিশু অপহরণের ঘটনাগুলির মধ্যে ৭০%-এরও বেশির ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে শিশুকে বাইরের কোন দেশে নিয়ে গিয়ে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে – আর আমাদের প্রবর্তিত ভ্রমণ নিদর্শটি অভিভাবকীয় শিশু অপহরণের ক্ষেত্রে ঠিক এই বিষয়টির বিরুদ্ধেই রক্ষাকবচ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
আমাদের এই ভ্রমণের সম্মতিপত্রটি তৈরি ও ব্যবহার বেশ সহজঃ শিশুদের জাদুর দুনিয়ায় থাকার ও অভিভাবকদের দ্বারা অপহৃত হয়ে যাবার উদ্বেগহীন একটি পৃথিবীতে জীবনযাপন করার অধিকার রয়েছে। আর একই সঙ্গে, যে সমস্ত অভিভাবকেরা এই ধরনের অপহরহণের ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁদেরও এমন এক সমাজ পাওয়ার অধিকার আছে যে সমাজ তাঁদের শিশুদের অপহরণ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। আমরা এই সকল অধিকারগুলি অস্তিত্বে বিশ্বাসী। অতএব, আমাদের কাজ ও নিষ্ঠা সেই লক্ষ্যেই জারি থাকবে।